অনলাইন ডেস্ক: দুর্গম পাহাড়ে গিয়ে সমতলের জঙ্গিরা একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ছত্রছায়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে দুটি প্রশিক্ষণ শিবিরে অভিযান চালিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্যসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসারের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখান থাকা জঙ্গিরা ও কেএনএফ সদস্যরা অন্য এলাকায় পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারে পাহাড়ে জঙ্গি বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে।
রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিজরতের নামে ঘর ছাড়া ৩৮ তরুণের তালিকা প্রকাশ করেছিলাম। নতুন করে আরও ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছি। গ্রেফতার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম পাওয়া গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।
প্রশ্নের জবাবের কর্মকর্তা বলেন, দেশীয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের টাকায় এই সংগঠন চলছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা থেকে আট কলেজছাত্র নিখোঁজ হন। কিছুদিন পর তাদের একজন ফিরে এলে এই তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ‘হিজরতের’ নামে ঘরছাড়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর কয়েক দিন পর কুমিল্লা শহরের কুবা মসজিদের ইমাম শাহ মো. হাবিবুল্লাহ আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ৫ অক্টোবর সাতজনকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তাদের মধ্যে কুমিল্লার দুজনসহ নিখোঁজ চার তরুণ ছিলেন। বাকি তিনজন জঙ্গি সংগঠক ও আশ্রয়দাতা। এরপর ৯ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় আরও পাঁচজনকে। পরদিন ১০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া ৩৮ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে এবং পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালানোর কথা জানায় র্যাব।
Leave a Reply