সাদেকুর রহমান,শিবালয় প্রতিনিধি: পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকলেও মহাব্যস্থ ও চিরচেনা যানজটের দুই ঘাটেই কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা পার হয়ে যাচ্ছেন। অনেকটা হঠাৎ করেই পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের উপচে পরা ভীড় দেখা দিয়েছে। তবে অন্যান্য বারের মতো যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়নি। অকল্পনীয়ভাবে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিগ্নে এ দুই নৌরুটের যাত্রীরা ফেরি,লঞ্চ ও স্পিড বোর্ডে পার হয়ে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্য়ন্ত যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও হঠাৎ করেই বিকাল হতে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৭ টা ৪৫টা মিনিট ) উভয় ঘাটেই যাত্রীদের ভীড় দেখা যায়। এসব যাত্রীদের বেশির ভাগ কাটা লাইন (লোকাল বাস) যাত্রী। তবে এই দুই নৌ-রুটে দুরপাল্লার যাত্রীদের বা পরিবহনের কোন তেমন কোন চাপ পড়েনি।
বিআইডব্লিউটিসি ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার ছিল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-পথ। লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এই পথে ফেরি পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনেক সময় দিনের পর দিন অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন যাত্রীরা। দুই ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। পদ্মা সেতু চালুর পর ভোগান্তি কমেছে। স্বস্তি ফিরেছে এই দুই নৌ-রুট ব্যবহার করে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এই নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে এই পারাপার। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ থাকলেও যানবাহনের তেমন চাপ পড়েনি। নির্বিগ্নে ফেরি ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ছোট-বড় ১৬ টি ফেরি এবং আরিচা-কাজীরহাট রুটে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়া ৩৩ লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এছাড়াও আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ৪১টি স্পিড বোর্ড যাত্রীদের পারাপাওে নিয়োজিত রয়েছে বলেও জানা গেছে।
Leave a Reply