1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ঘণকুয়াশায় সাড়ে ৫ঘন্টা আরিচা-কাজিরহাট এবং ৪ ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় যা থাকছে ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হরিরামপুরে ডেবনেয়ার গ্রুপের উদ্যাগে দশ হাজার কম্বল বিতরণ ঘিওরে ক্যান্সার আক্রান্ত নারীকে জবাই করে হত্যা  কান্ঠাপাড়া হাট বাজার পরিচালনা কমিটির  পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ শিবালয়ে যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে গ্রেপ্তার ২ শিবালয়ে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে গৃহকর্তার সর্বস্থ লুটে নেয়া চক্রের এক সদস্য আটক শিবালয়ে ৭ বছরের শিশু মাহিম উদ্ধার, দু’জন গ্রেপ্তার  

পরিমিত আহার গ্রহণে ইসলামের নির্দেশনা

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ২২৭ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: সুস্থতা মহান আল্লাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা ও ইবাদত-বন্দেগির জন্য সুস্থতা একান্ত প্রয়োজন। সুস্থতার মূল্যায়ন, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে ইসলাম বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। সতর্কতা সত্ত্বেও রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এর সুচিকিৎসায় জোর দিয়েছে।

খাদ্য গ্রহণে সচেতনতা স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। এ জন্য অনেকেই বিভিন্ন ডায়েট-রুটিন অনুসরণ করে থাকে। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা এমন—

পরিমিত আহার :

বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। তবে খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সংযত হতে হবে এবং পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। পেট ভর্তি করে খাওয়া নবীজির সুন্নত নয়। নবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম কখনো পেট ভর্তি করে খাবার খাননি। মিকদাম ইবনে মাদিকারব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পেটের চেয়ে নিকৃষ্টতর কোনো পাত্র মানুষ পূর্ণ করে না। আদম সন্তানের জন্য ততটুকু খাদ্য যথেষ্ট, যতটুকুতে তার পিঠ সোজা থাকে। আর যদি এর চেয়ে বেশি খেতে হয়, তাহলে সে যেন তার পেটের এক-তৃতীয়াংশ আহারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানের জন্য এবং এক-তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ব্যবহার করে। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩৪৯)

সাপ্তাহিক ও মাসিক রোজা :

হাদিসে এক দিন পর পর অথবা সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার নির্দেশনা আছে। মাসে তিন দিন রোজা রাখার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রোজার মাধ্যমে শরীরে অটোফেজির সুযোগ তৈরি হয় এবং পাকস্থলীর দূষিত পদার্থ পরিষ্কার হয়ে যায়। এক দিন পর পর রোজা রাখাকে ‘সাওমে দাউদ’ বলা হয়। দাউদ (আ.) এভাবে রোজা রাখতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) এটিকে সর্বোত্তম রোজা বলেছেন এবং বেশি রোজা রাখতে আগ্রহীদের এভাবে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা রাসুলুল্লাহ (সা.) পছন্দ করতেন। এ ছাড়া তিনি আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা আদায় করাকে বছরজুড়ে রোজা রাখার সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার ব্যাপারে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার (বান্দার) আমল (আল্লাহর দরবারে) উপস্থাপিত হয়। আমি পছন্দ করি যে রোজা অবস্থায় আমার আমল উপস্থাপিত হোক। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৪৭)

এশার আগে রাতের খাবার :

রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লে পাকস্থলী শয়ন অবস্থায়ও কর্মরত থাকে। ফলে পরিপাকের ত্রুটিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি হতে পারে। তাই এশার নামাজের আগে রাতের খাবার খেয়ে নিলে একদিকে মসজিদে যাওয়া-আসা, নামাজ আদায় ইত্যাদির মাধ্যমে ঘুমানোর আগেই পাকস্থলীর কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়, অন্যদিকে এশার নামাজের পর তাড়াতাড়ি ঘুমানো সম্ভব হয়, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজের আগে ঘুমাননি এবং তার পর নৈশ আলাপ করেননি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭০২)

অন্য হাদিসে এসেছে, আবু বারজাহ আল-আসলামি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং এশার পর কথাবার্তা বলা পছন্দ করতেন না। (বুখারি, হাদিস : ৭৩৭, মুসলিম, হাদিস : ১৪৯৪)

হালাল ও সুষম খাদ্য গ্রহণ :

শরীরের জন্য উপযোগী, সুষম ও হালাল খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করতে হবে। ক্ষতিকর, ধ্বংসাত্মক ও হারাম খাদ্য-পানীয় বর্জন করতে হবে। ইসলাম যেসব বস্তু হারাম করেছে, সেগুলো নিশ্চিতভাবেই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবজাতি, পৃথিবীতে যা কিছু হালাল ও পবিত্র খাদ্যবস্তু আছে, তা থেকে তোমরা আহার করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৮)

ধূমপান ও মাদকদ্রব্য পরিহার :

ধূমপান মারাত্মক ঘাতক নেশা, যা ক্রমান্বয়ে মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ধূমপানের প্রভাবে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। মাদকদ্রব্যও মানুষকে অসামাজিক, অসুস্থ ও অপরাধপ্রবণ করে তোলে। মৃত্যু যার করুণ পরিণতি। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ো না। তোমরা সত্কাজ করো, আল্লাহ সত্কর্মপরায়ণ লোককে ভালোবাসেন। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৫)

মাদকদ্রব্য পরিহার করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা, মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু। এগুলো শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৯০)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পছন্দের খাবার গ্রহণ :

রাসুল (সা.) কিছু খাবার পছন্দ করতেন। সেগুলো সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এসব খাবারের গুণাগুণ এবং মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আধুনিক গবেষণায়ও প্রমাণিত। যেমন—খেজুর, দুধ, মধু, যবের রুটি, লাউ, গোশত, পনির, মাখন, মিঠাই ইত্যাদি। প্রয়োজন ও পরিমাণমতো এসব খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :