1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্দীপন এনজিওর কর্মী নিহত  প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন এমপি মমতাজ হরিরামপুরে কৃষক লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন শিবালয়ে অটোরিকশা চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক,প্রাইভেটকারসহ অটোরিকশা উদ্ধার দেশের উন্নয়ন শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে:মমতাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে হরিরামপুরে গাছের চারা রোপন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ক্ষেতমজুর সমিতির সভা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আব্দুল লতিফ প্রধান শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হরিরামপুরে মৃত গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর মির্জা ফখরুল ভয় দেখায়

দেশের নারী সমাজকে বঙ্গমাতার আদর্শ ধারণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০২২
  • ৮৯ বার পড়েছেন

অনলাইন ন্যাশনাল ডেস্ক: আমাদের দেশের নারী সমাজকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আদর্শ ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নাই কথাটা আমার মা কখনও বলতেন না। কিছু ফুরিয়ে গেলে বলতেন, এটা শেষ হয়ে গেছে, আনতে হবে। যখন যেভাবে যে অবস্থায় থাকতেন সেই অবস্থায় তিনি চলতেন এবং আমাদেরও সেভাবে চলা শিখিয়েছিলেন।

সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবার জীবনে আমার মায়ের অবদান অনেক বেশি। রাজনৈতিক জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার মা কিন্তু সবসময় বাবার পাশে থেকেছেন। মা ছিলেন বাবার ছায়াসঙ্গী। তিনি আমার বাবার আদর্শটা ধারণ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক প্রয়োজন, কোনও চিকিৎসা পারপাসে বিনা দ্বিধায় নিজের টাকা খরচ করতেন আমার মা। অনেক সময় অনেক নেতাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজের গহনা বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকাও তিনি দিতেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার বাবাকে কখনও এটা চাই-ওটা চাই বলে বিরক্ত করেননি। কারাগার থেকে বাবা যখন বলতেন, তুমি কীভাবে চালাচ্ছ আমি বুঝি না। তিনি বলতেন, তোমাকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে না। এটা আমার ওপর ছেড়ে দাও। আমি দেখবো। সব দায়িত্ব তিনি কিন্তু হাতে নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মা জানতেন বাবা সবসময় দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এই উপলব্ধি থেকেই কিন্তু সবসময় পাশে থেকে তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন। একজন স্ত্রী হিসেবে তিনি কোনও কিছু দাবি করতেন না; বরং আব্বার যখন কোনও কিছু প্রয়োজন হতো, তাঁর সবকিছু তিনিই দেখতেন।

তিনি বলেন, সংসারে সবকিছু খুব নিয়মমাফিক করতে হতো। মাসিক বাজার কী হবে, সেই হিসাবটাও মা লিখে রাখতেন। আমার মায়ের সেই হিসাব লেখার একটি খাতাও কিন্তু আমার কাছে আছে। সেখানে সংসার খরচের খুঁটিনাটি সুন্দরভাবে লেখা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আমার মা যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটাই কিন্তু আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জনে সব থেকে সহায়ক হয়েছে। ৬ দফা বাদ দিয়ে যদি আওয়ামী লীগ ৮ দফায় চলে যেতো তাহলে কখনও এ দেশের মানুষের মুক্তি আসতো না। ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমার মায়ের মতামতই গুরুত্ব পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৪-এ আমার আব্বা খাদ্য সচিবকে দিয়ে খোঁজ নিলেন কোন গুদামে কত চাল আছে। তারপর নগদ টাকা দিয়ে চাল কেনা হলো। কিন্তু আমেরিকা সেই চাল আসতে দিলো না। জাহাজ আটকে দিলো। ৭৪-এর দুর্ভিক্ষটা অনেকটা মনুষ্যসৃষ্টি বলতে হবে।

‘রাষ্ট্র চালানোসহ নানা বিষয় আমার মা খেয়াল করতেন এবং বাবাকে পরামর্শ দিতেন। শুধু সংগ্রামের ক্ষেত্রে নয়,প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার মায়ের দৃষ্টি ছিল,’ বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

সরকার প্রধান বলেন, আমার আব্বার খুব সৌভাগ্য ছিল যে আমার মায়ের মতো একজন জীবন সাথী পেয়েছিলেন। সেই সাথে আমার দাদা-দাদিকেও ধন্যবাদ জানাবো, আমার বাবা বড় ছেলে হলেও তার কাছে তারা পরিবারের জন্য তেমন কিছু প্রত্যাশা করেননি। আর এ কারণেই কিন্তু আমার বাবার পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আমার মা ১৫ আগস্টও নিজের জীবন ভিক্ষা চাননি। নিজের জীবনটাও দিয়ে গেছেন। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের নারী সমাজ যেন এই আদর্শটা ধারণ করেন। শুধু চাওয়া-পাওয়া আর বিলাসিতাই জীবন না। একটা আদর্শ নিয়ে চললে মানুষের জন্য অনেক অবদান রাখা যায়। এই আদর্শ নিয়েই মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি এ সময় শৈশবের নানা স্মৃতিচারণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছয় দফা ঘোষণার পর জাতির পিতা কারাগারে গেলে দাবি আট দফা করার জন্যও দলের ভেতরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, কিন্তু মা ছয় দফাতেই অটল ছিলেন।

জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, যে ভাষণ আজকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর প্রামান্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে এবং বাঙালি মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই ভাষণ প্রদানের সময়ও তার মায়ের সুচিন্তিত পরামর্শ এবং জাতির পিতাকে আস্থা ও ভরসা প্রদানের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে জেন্ডার প্রেক্ষিতে বঙ্গমাতার জীবন দর্শন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কথাসহিত্যিক ও বাংলা একাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।

 

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :