1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
খালেদাকে বিদেশ নিতে আইনগত জটিলতা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমি যাই করে থাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবই জানেন : মমতাজ সাংবাদিকরা উর্দির ভূমিকা পালন করছেন: মির্জা ফখরুল উন্নয়নশীল দেশগুলোর নিকট কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী আলু, পেঁয়াজ ও ডিম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ১০৫ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ধামরাইয়ে করিম টেক্সটাইলে শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সাংবাদিকদের রিপোর্টে বাধা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী শুরু সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে,সম্পাদক এ আর জুয়েল ধামরাইয়ে স্থানীয় সরকার দিবসে বেশী সংখ্যক চেয়ারম্যান ছিলেন অনুপস্থিত হরিরামপুরে যুবলীগ নেতা আব্দুল হাসান পিন্টুর ইন্তেকাল

দুই হাত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে ফাল্গুনী এখন অফিসার

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১১৬ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: আর দশটি শিশুর মতোই হেসে-খেলে বেড়ে উঠ’ছিলেন। তবে হঠাৎ’ই নেমে আসে মস্ত বড় একটা বিপদ। সময়টা ২০০২ সাল। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই হাতের কনুই পর্যন্ত পুড়ে যায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ফাল্গুনী সাহা’র।

পুরো হাতের পচন ঠেকাতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়।

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর ফাল্গুনী থেমে থাকেনি। কাগজ-কলম দেখলে মন খারাপ হতো তার। দুই হাতের কনুইয়ের মাঝখানে কলম রেখে লেখার কৌশল আয়ত্তের চেষ্টা করলেন। তার বাবা জগদীশ চন্দ্র সাহার একটি মুদি দোকান ছিলো।

চার বোনের মধ্যে ফাল্গুনী তৃতীয়। তার বাবা জগদীশ চন্দ্র সাহা, মা ভারতী সাহা। ছোটখাটো একটি মুদি দোকান ছিলো তার বাবার। তবে তাদের আবার দুর্ভাগ্য নেমে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কয়েক দিন পর বাবাকে হারান ফাল্গুনী।

ফাল্গুনী সবে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করেছেন। লেখা পড়ার পাশাপাশি মিষ্টির বাক্স বিক্রি করে কোনো মতে সংসার চালাতেন ফাল্গুনী সাহা।

শুরুতে কলম ধরে লেখার ক্ষেত্রে এলোমেলো হয়ে যেত লাইন। কলম ধরতে ধরতে এক সময় হাতে ইনফেকশনও হয়েছিল। তবে তিনি হার মানেননি। অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে এক সময় ঠিকই লেখা আয়ত্তে চলে আসে।

পরের বছর তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। গলাচিপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ফাল্গুনী সাহা।

ফাল্গুনী সাহা জানান, এইচএসসি ফলাফলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কোচিং এর সময় ফার্মগেটে ছিলেন কিছু দিন। পরে সূত্রাপুর ও লালবাগে দুই আত্মীয়ের বাসায় থাকতেন।

২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। শুরুতে টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ চলত। টিউশনি চলে যাওয়ার পর চরম অর্থকষ্টে কাটে কিছুদিন।

পরে এলাকার এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় ‘মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’এর প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চন্দ্র নাথের সঙ্গে। সেখান থেকে বৃত্তির ব্যবস্থা হলো। অনার্স শেষ হলো ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগীতায়। কিন্তু মাস্টার্স শেষে কী হবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। এর মধ্যেই একটি সুখবর আসে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে হিউম্যান রিসোর্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে।

পাহাড়’সম বাধা পেরিয়ে এই পর্যায়ে এসে ফাল্গুনী সাহা বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করে এই অবস্থানে এসেছি। ইচ্ছা শক্তির জোরে এতো দূর আসা। আমাদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত। দৃষ্টিভঙ্গী আর মানসিকতা ঠিক থাকলে প্রতিবন্ধকতা কোনো বিষয় নয়।

সুত্র: The Rising Campuse

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :