1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব মানিকগঞ্জে শানে রেসালাত মহাসম্মেলন আলেম ওলামাদের হুসিয়ারি বাংলাদেশে অবশ্যই কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণসমর্থন রয়েছে পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, ৮ জন নিহত মানিকগঞ্জে ৩৪ পূজামণ্ডপে জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতার অনুদান মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত আহবায়ক জাহাঙ্গীর, সদস্য-সচিব শাহানুর মিরপুরে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর স্ত্রীর গাড়ির ড্রাইভারের সিংগাইরে ২ কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি!   গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সভা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক মাদক কারবারি গ্রেফতার

তওবা করলে যে পুরস্কার

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২
  • ২৯৪ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: তওবা শব্দের অর্থ ফিরে আসা, অনুশোচনা করা ও অনুতাপ করা। ইসলামের পরিভাষায় তওবা বলা হয় অতীতে কৃত পাপকর্মের ওপর পরিতাপদগ্ধ ও অনুশোচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বর্জন করা এবং ভবিষ্যতে সেই পাপে লিপ্ত না হওয়ার দৃঢ় সংকল্পে আবদ্ধ হওয়া। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ মুমিনদের আন্তরিকভাবে তওবা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা কায়মনোবাক্যে তওবা করবে তাদের বেহেশতে প্রবিষ্ট করার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহর কাছে তওবা করো; আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মগুলো মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নহর-নদী’ (সুরা তাহরিম : ৮)। বান্দা তওবা করলে আল্লাহ খুশি হন এবং পুরস্কার দেন।

তওবায় আল্লাহর আনন্দকোনো মানুষ যদি পাপের সাগরে নিমজ্জিত থাকে, কলুষ-কালিমায় লিপ্ত থাকে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। পক্ষান্তরে যখন কোনো ব্যক্তি পাপকর্ম বর্জন করে আল্লাহ তায়ালার দিকে ফিরে আসে, মহান আল্লাহকে স্মরণ করে তাঁর প্রতি মনোযোগী হয় ও কৃত অপকর্মের ব্যাপারে অনুশোচিত হয় এবং তওবা করে তখন আল্লাহ অত্যন্ত সন্তুষ্ট ও আনন্দিত হন। রাসুল (সা.) বলেছেন, মনে করো কোনো এক ব্যক্তি সফরের কোনো এক স্থানে অবতরণ করল, সেখানে প্রাণেরও ভয় ছিল। তার সঙ্গে তার সফরের বাহন ছিল। যার ওপর তার খাদ্য ও পানীয় ছিল, সে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ল এবং জেগে দেখল তার বাহন চলে গেছে। তখন সে গরমে ও পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ল। বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহ যা চাইলেন তা হলো। তখন সে বলল, আমি যে স্থানে ছিলাম সেখানেই ফিরে যাই। এরপর সে নিজ স্থানে ফিরে এসে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। তারপর জেগে দেখল, তার বাহনটি তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। তখন সে ব্যক্তি যতটা খুশি হয়, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দার তওবা করার কারণে এর চেয়েও অনেক অধিক খুশি হন।’ (বুখারি : ৬৩০৮)

মহানবীর তওবা

আল্লাহর রাসুল (সা.) ছিলেন নিষ্পাপ ও মাসুম। তাঁর জীবনে কোনো ভুল-ভ্রান্তি ও অন্যায়-অপরাধ ছিল না। তিনি ছিলেন নিষ্কলঙ্ক ও নিষ্কলুষ। পাপের কালিমায় কলঙ্কিত না হওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন সত্তর বারের অধিক তওবা করতেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তর বারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তওবা করে থাকি’ (বুখারি : ৬৩০৭)। অন্য আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) দৈনিক একশত বার তওবা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি দৈনিক শতবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তওবা করি’ (ইবনে মাজা : ৩৮১৫)। মহানবী (সা.) সর্বপ্রকার পাপের কলঙ্ক ও কলুষতার কালিমা থেকে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও যদি দৈনিক একশত বার তওবা করেন, তাহলে আমাদের কতবার তওবা করা উচিত?

তওবাকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন

মানুষের মধ্যে সৎকাজ করার প্রবণতা যেমন আছে তেমন আছে অসৎকাজ করার প্রবণতা। সৃষ্টিগতভাবেই মানুষের স্বভাবের মধ্যে ভালো কাজ করার আগ্রহ গচ্ছিত রাখা হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে তাদের স্বভাব-প্রকৃতির মধ্যে মন্দ কাজ করার প্রেরণাও নিহিত রয়েছে। তাই মানুষের মাধ্যমে গুনাহ-খাতা, ভুল-ভ্রান্তি ও অন্যায়-অপরাধ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যার ভুল হয় না। যার দ্বারা অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হয় না। প্রতিটি মানুষই ভুল করে। কিন্তু ভুল করার পর যদি কোনো ব্যক্তি সেই ভুল থেকে তওবা করে ফিরে আসে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদের পছন্দ করেন।’ (সুরা বাকারা : ২২২)

নিষ্পাপ সমতুল্য শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি

আদম সন্তানের মধ্যে এমন কোনো মানুষ নেই যার গুনাহ নেই। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় প্রাত্যহিক জীবনে গোনাহ-খাতা হয়েই যায়। জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ভুল-ভ্রান্তি সংঘটিত হতেই থাকে। তবে ভুলকারীদের মধ্যে তারাই ভালো মানুষ, যারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে। আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তওবা করে। হাদিস শরিফে পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যারা তওবা করে তাদের শ্রেষ্ঠ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তওবাকারীরা উত্তম’ (ইবনে মাজা : ৪২৫১)। অন্য আরেকটি হাদিসে গুনাহগার তওবাকারী ব্যক্তিকে নিষ্পাপ মানুষের সমান্তরালে দাঁড় করানো হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তিতুল্য।’ (ইবনে মাজা : ৪২৫০) তওবা করায় ইহলৌকিক কল্যাণ ও পারলৌকিক মঙ্গল নিহিত রয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি তওবা করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ইহকালে ক্ষমা করে দেবেন এবং পরকালে নাজাত দান করবেন। তওবাকারী ব্যক্তিদের সফল বলে আখ্যায়িত করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো’ (সুরা নুর : ৩১)। তাই আসুন! আমরা তওবা করে নিজেদের ইহ ও পারলৌকিক জীবনকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলি। মহান আল্লাহ সবাইকে আমল করার তওফিক দান করুন।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :