অনলাইন ডেস্ক: টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রোববার রাত থেকে উপজেলার মুহুরি, কহুয়া এবং সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার(৭ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে মুহুরি নদীর ফুলগাজি উপজেলায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। ফুলগাজি উপজেলার সদরের বরইয়া এবং দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে মুহুরি নদীর পাড়ের এবং উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নদীকূলবর্তী কয়েক হাজার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। অপর দিকে পরশুরামের একাধিক স্থানে নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণের আশংকা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের রতন পুর নামক স্থানে সোমবার সকালে ভাঙ্গণের ঝুঁকি দেখা দিলে গ্রামবাসী বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙ্গণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। একই ইউনিয়নের রামপুর এলাকায় কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গণ দেখা দিতে পারে বলে ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী আশংকা করছেন।
সোমবার সকালে মুহুরি নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর (স্বাভাবিক বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অজিত দেব নাথ বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক ভাবে সহযোগিতার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভাঙ্গণের ঝুঁকি রয়েছে। যেকোন মুহুত্বে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণ দেখা দিতে পারে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, পরশুরাম বাসীর দুঃখ্ কখনো শেষ হবেনা প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলে নদী তীরকুলবর্তী এলাকার মানুষকে আতংকে দিন কাটতে হয়। প্রতিবছর বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণের কারণে বিস্তুর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Leave a Reply