অনলাইন ডেস্ক: অবশেষে ইন্দোনেশিয়া থেকে জ্বালানির কয়লা এসেছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে।অক্টোবরে রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘাটে তিনটি লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা আসার পর তা আনুষ্ঠানিক খালাস শুরু হয়। এতে আগস্ট থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। এই পরীক্ষা সেপ্টেম্বরেও চলবে। এরপর অক্টোবর থেকে শুরু হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
এ সময় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.কবির হোসেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ারুল আজিমসহ স্থানীয় অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজিম জানান, এটাই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম জ্বালানি কয়লা হিসেবে আমদানি হলো। বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ ‘‘এম ভি আকিজ হেরিটেজ’’ করে ইন্দোনেশিয়া থেকে এই কয়লা আমদানি করা হয়।
জানা যায়, গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ জাহাজটি ছেড়ে আসে। এরপর গত ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি ভিড়ে। সেখানে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে তিনটি লাইটার জাহাজে ওঠানো। বাকি ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আকিজ হেরিটেজ মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় অবস্থান করবে জাহাজটি।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজিএম আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা ছোট লাইটারেজে করে এখানে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকাল থেকে এই কয়লা খালাস করা হয়। এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি কয়লা আসবে। এই কয়লা দিয়ে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলক চালানো হবে। এরপর অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল লিমিটেড (বিএইচইল) নামে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে মোট খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।
Leave a Reply