সাদেকুর রহমান, শিবালয়, প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে স্বাভাবিক ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১১ ঘন্টা এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে ৯ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘনকুয়াশা কেটে গেলে উক্ত নৌরুটগুলোতে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।এতে ফেরি পারাপার হতে আসা যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে কুয়াশা পড়তে থাকে।ধীরে ধীরে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট এবং রাত ১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বন্ধ রাখা হয় ফেরি চলাচল।দুর্ঘটনা এড়াতেই কর্তৃপক্ষ ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন।
এসময় পাটুরিয়া-দৌলতাদিয়া নৌপথের মাঝ নদীতে আটকে পড়ে তিনটি ফেরি।পাটুরিয়া প্রান্তে তিনটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে পাঁচটি ফেরি নোঙর করে থাকে।
অনুরূপ আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের আরিচা ঘাটে তিনটি মাঝ নদীতে ১টি ও কাজিরহাট ঘাটে একটি ফেরি নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের মধ্যে মাঝ নদীতে আটকে থাকা এসব ফেরির যাত্রী ও যানবাহন চালক এবং সহকারীদের বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসি আরিচা অাঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মুহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই পদ্মা-যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে।ভারি কুয়াশা পড়ার আগ মুহুর্তে ফেরি ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিগুলো দ্রুত গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মধ্যরাত থেকে সামান্য দূরের কিছুই যখন দেখা যাচ্ছিলনা তখন বাধ্য হয়ে ফেরি বন্ধ রাখা হয়।এতে পাটুরিয়া ঘাটে ছোট-বড় সব মিলে দেড় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ নেই। ১৬টি ফেরির মধ্যে ১১টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে যানবাহন পারাপারের জন্য। আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।
Leave a Reply