সাদেকুর রহমান, শিবালয় প্রতিনিধি: ঘণকুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরিসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঘাটে আসা যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ফেরি পারাপারের জন্য ঘাটে আসা গাড়িগুলোকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, রবিবার ( ১ জানুয়ারী ) সন্ধ্যার পর থেকেই নদীতে কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে এ নৌপথ দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত একটানা সাড়ে ১২ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
এসময় রো-রো ফেরি শাহ আলী যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে মাঝ নদীতে এবং বেগম রোকেয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, কুঞ্জুলতা আরিচায় ও এনায়েতপুরী কাজিরহাট ঘাটে নোঙর করে থাকে। উভয় ঘাটে শতাধিক গাড়ি ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে একই কারণে সোমবার ভোর রাত ৫টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫ঘন্টা পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। এসময় যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা, ফরিদপুর, শাহ জালাল ও মাধবীলতা নামের চারটি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙর করে থাকে। এছাড়া পাটুরিয়ায় ২টি এবং দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরি নোঙর করে থাকে।
ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটসহ সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নদী পারাপারের জন্য আসা যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদেরকে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘণকুয়াশার কারণে নৌপথ দেখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ফেরি চালাতে গেলে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় ঘণ কুয়াশা কেটে গেলে পুণরায় ফেরি চলাচল শুরু হয় বলে তিনি জানান।
Leave a Reply