সাদেকুর রহমান, শিবালয় প্রতিনিধি: ঘণকুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ঘাটগুলোতে আটকে পড়ছে যানবাহন ও যাত্রীরা। নদী পারাপার হতে এসে এদেরকে ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে।  খাবার, পয়:নিস্কাশনসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে  এসব যাত্রীদেরকে। কনকনে শীতের মধ্যে বেশী অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে শিশু এবং নারী যাত্রীদেরকে।

পদ্মা সেতু চালু হলেও রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জেলার লোকজন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট ব্যাবহার করে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে অব্যাহতভাবে ঘণকুয়াশা পড়ায় দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। যে কারণে ভোগানিন্তে পড়তে হচ্ছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ঘণকুয়াশার কারণে অন্যান্য দিনের মত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। দু,টি ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও শাহ আলী মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। বাকী ফেরিগুলো উভয় প্রান্তে রয়েছে।

এদিকে একই কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে ফেরি চলাচলা বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় শাহ পড়ান, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শাহ মুখদুম ও হাসনা হেনা নামের চারটি ফেরি যমুনার মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। বাকী ফেরিগুলোর মধ্যে পাটুরিয়ায় ৩টি এবং দৌলতদিয়ায় চারটি নোঙর করে রাখা হয়েছে।

ফেরির মাষ্টার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, শনিবার এ এলাকায় কোন রকম রোদের মুখ দেখা যায়নি। সারাদিনই পদ্মা-যমুনা অববাহিকা ছিল কুয়াশাছন্ন । সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার ঘণত্ব বাড়তে থাকে। রাতের বেলায় কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে নৌপথ দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। এসময় দুর্ঘটনা এড়াতেই কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের শাহ মুহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘন কুয়াশায় দীর্ঘ সময় নৌ রুট বন্ধ থাকায় পারাপারে  সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো পারাপার করতে না পাড়ায় ঘাটে আসা যানবাহন শ্রমিক এবং যাত্রীদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ১১টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে রয়েছে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। ঘণকুয়াশা কেটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।