সাদেকুর রহমান, শিবালয় প্রতিনিধি: ঘণকুয়াশার কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে সাড়ে ১১ ঘন্টা এবং এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সাড়ে ১০ ঘন্টা পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নদী পারাপার হতে এসে যানবাহনগুলোকে ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। এতে পয়:নিস্কাশনসহ নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এসব যাত্রীদেরকে। কনকনে শীতের মধ্যে বেশী অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে শিশু এবং নারী যাত্রীদেরকে।
পদ্মা সেতু চালু হলেও রাজবাড়ি, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জেলার লোকজন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুট ব্যাবহার করে থাকে। কিন্তু বিগত প্রায় এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরে অব্যাহতভাবে ঘণকুয়াশা পড়ায় দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। যে কারণে ভোগানিন্তে পড়তে হচ্ছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীদেরকে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ঘণকুয়াশার কারণে অন্যান্য দিনের মত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯:১০ পর্যন্ত আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় দু,টি ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও শাহ আলী মাঝ নদীতে নোঙর করে ছিল। বাকী ফেরিগুলো উভয় প্রান্তে থাকে।
এদিকে একই কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ফেরি চলাচলা বন্ধ রাখা হয়। শাহ পড়ান, বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শাহ মুখদুম ও হাসনা হেনা নামের চারটি ফেরি যমুনার মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়। বাকী ফেরিগুলোর মধ্যে পাটুরিয়ায় ৩টি এবং দৌলতদিয়ায় চারটি নোঙর করে রাখা হয়।
ফেরির মাষ্টার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, শনিবার এ এলাকায় কোন রকম রোদের মুখ দেখা যায়নি। সারাদিনই পদ্মা-যমুনা অববাহিকা ছিল কুয়াশাছন্ন । সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার ঘণত্ব বাড়তে থাকে। রাতের বেলায় কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেলে নৌপথ দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। এসময় দুর্ঘটনা এড়াতেই কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের শাহ মুহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় ঘণকুয়াশা কেটে গেলে উক্ত নৌরুটগুলোতে ফেরি চলাচল শুরু করে।পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১১টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিত্বে পারাপার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply