1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

গরিবের জন্য ইনসুলিন সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৫৪ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গরিব মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইনসুলিন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সুবিধা নিশ্চিত করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি উন্মোচিত করেছে। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য এনসিডিগুলোর জন্য আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে এমন বৈষম্য মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

মঙ্গলবার ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডায়াবেটিস কংগ্রেস-২০২২-এ প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

সমস্ত ডায়াবেটিস রোগী এবং সেবাদানকারীদের পক্ষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবিলম্বে অবসান ঘটানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য এবং  শিক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকের কাছে আমরা সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন যাতে পৌঁছাতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি শান্তির বিশ্ব থাকা দরকার।’

 শেখ হাসিনা বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সচল করতে হবে।

তিনি বলেন, গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি বিষয়টি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নজরে আনতে তাঁর ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন-আইডিএফ-কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃবৃন্দের সাথে গ্লোবাল ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ডব্লিউএইচও বলেছে, বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে এবং এই রোগে প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।বাংলাদেশে শিশুসহ ৮.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট  অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে বসবাস করে। তবে ডায়াবেটিস থেকে জটিলতা ও অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের মতো কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অনেক পার্থক্য করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সঠিক ওষুধ এবং সতর্কতার মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত জীবন উপভোগ করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ-এনসিডিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে ১৪ নভেম্বরকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আইডিএফ-এর সাথে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য প্রধান এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত পেশাদার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :