অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়ার খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণায় বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। মস্কোর এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, খাদ্যশস্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তবে রাশিয়াকে আবারও খাদ্যশস্য চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার জেরে ইউক্রেনের সঙ্গে খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় মস্কো। এতে বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্যসংকটের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, মস্কোর এমন উদ্যোগ আপত্তিকর। এতে বিশ্বে খাদ্য সংকট আরও বাড়বে। অন্যদিকে রাশিয়া খাদ্যশস্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, আফ্রিকা ও এশিয়াকে নতুন করে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলতেই মস্কো ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি স্থগিতের কথা জানিয়েছে। রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তের কারণে ২১৮টি খাদ্যশস্যের জাহাজ আটকে আছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রাশিয়াকে পুনরায় খাদ্যশস্যের চুক্তিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া রাশিয়াকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা উল্লেখ করে চুক্তিটি জরুরিভিত্তিতে আবারও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো মুখপাত্র ওয়ানা লুংগেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও একই আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে উৎপাদিত শস্য রফতানি বন্ধ ছিল। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য রফতানির একটি চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ওই চুক্তির পর ৮০ লাখ টন শস্য রফতানি করেছে ইউক্রেন।
Leave a Reply