1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ঘিওরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ : সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত – আহত ৬ দেশ একজন লেডি ফেরাউনের হাতে পড়েছিল-রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপিত মানিকগঞ্জে ঢাকা বিভাগীয় জিয়া  ক্রিকেট  টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হরিরামপুরে  বিএনপির ৩১ দফা তুলে ধরলেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জি: মঈনুল ইসলাম খান আজ ৬ডিসেম্বর জনযুদ্ধের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির দিন সিংগাইরে টমেটো ক্ষেত থেকে অটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার  শিবালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান ভবনে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট আয়োজিত গণতন্ত্র অলিম্পিয়াড ’সোনার বাংলার’ প্রাকৃতিক সৌন্দযের অন্যতম পাহাড়-নদী বেষ্টিত নেত্রকোণা

খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়ছে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩৭৩ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: কোলন ক্যান্সার কোলরেক্টাল ক্যান্সার নামেও পরিচিত। বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের রোগী তৃতীয় সর্বোচ্চ। বয়স্কদের এই ক্যান্সার বেশি হলেও বর্তমানে তরুণদের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে খাদ্যাভ্যাসকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের হার এবং মৃত্যুঝুঁকির বিচারে কোলন ক্যান্সার খুবই বিপজ্জনক। তবে সচেতন হলেই এই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব এবং প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে এটি অনেকাংশেই নিরাময়যোগ্য।

কোলোরেকটাল ক্যান্সার বলতে বৃহদন্ত্র থেকে মলদ্বার পর্যন্ত অংশের ক্যান্সারকে বোঝায়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, প্রতি ২১ জন পুরুষের মধ্যে একজন এই ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছেন। সর্বোচ্চ মৃত্যুর হারে কোলন ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এ ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করালে এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচা সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়ে বেশির ভাগ মানুষই সচেতন নয়। তাই অনেকেরই কোলন ক্যান্সার শুরুতে শনাক্ত হয় না। অথচ শুরুতে শনাক্ত হলে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারের হার বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণরা মাংসজাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় তাদের কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। এই বৃদ্ধির হার এতটাই যে বিজ্ঞানীরাও বিস্মিত হয়ে পড়েছেন।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তত্ত্বাবধান বিভাগের প্রধান রেবেকা সিগেল সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা জানতেন যে তরুণদের মধ্যে কোলোরেকটাল ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার হার বাড়ছে। কিন্তু এত দ্রুতগতিতে এটি হচ্ছে, সেটা জানতে পেরে আমরা বিস্মিত হয়েছি।’

এক গবেষণামূলক প্রতিবেদনে কোলন ক্যান্সারের কারণ, প্রতিরোধের উপায়সহ নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন সিগেল। প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ‘এই রিপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি যে শুধু বর্তমানের ক্যান্সার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরে তাই নয়, ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও আমাদের ধারণা দেয়।’

সিগেলের আশঙ্কা, ‘তরুণদের মধ্যে কোলন ক্যান্সার বাড়তে থাকলে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা ও যৌন ক্ষমতা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। তরুণরা আক্রান্ত হলে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘসময় ধরে চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর বিষয়েও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে চিকিৎসকদের।’

বাংলাদেশে কী পরিমাণ মানুষের মধ্যে কোলন ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে বাংলাদেশের জাতীয় ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১৯ দশমিক ২ শতাংশ পরিপাকতন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্ত।

ঝুঁকিতে যারা

বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত কোনো ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেননি। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা ‘এনএইচএস’ মনে করে, কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। যেমন — অতিরিক্ত ওজন এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ঝুঁকি বাড়তে পারে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া এবং খাদ্য তালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারের স্বল্পতার কারণেও। পরিবারের কোনো সদস্যের (বাবা, মা বা ভাই, বোন) যদি ৫০ এর কম বয়সে কোলন ক্যান্সার হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিরও ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ে। যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম না করার কারণেও ঝুঁকি বাড়তে পারে। মদ্যপান ও ধূমপানও এ ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি।

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মলত্যাগের জন্য হাই কমোড ব্যবহারকারীদের কোলনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ১০০ জন কোলন ক্যান্সারের রোগীর ওপর গবেষণাটি করা হয়।জীবনযাপনে পরিবর্তন জরুরি

নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার গ্রহণে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাদ্য তালিকায় আঁশযুক্ত এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। দৈনিক অন্তত আধা ঘণ্টা হাটাহাটির অভ্যাস থাকলে যেকোনো ক্যান্সারের মতো কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে। এ ছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার মাধ্যমে এই ক্যান্সারের ভয়াবহত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের ল্যাপারোস্কপিক ও কলোরেক্টাল সার্জন অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ৪০ বছর পার হলেই রোগ নির্ণয়ের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা (স্ক্রিনিং) করানো উচিত।

চিকিৎসার বিষয়ে ডা. এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘টিউমারের আকার এবং লসিকা গ্রন্থি (লিম্ফ নোড) দেহের কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে কোলন ক্যানসারের চিকিৎসা করা হয়। কোলন ক্যানসারের চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি রয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :