অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভাঙন ধরেছে। ছোট-বড় ১০টি স্থানে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভেঙে যাওয়া অংশ এখনই মেরামত করা না হলে ব্যাপক ভাঙনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার প্রায় ৬০ মিটার সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে। এ ছাড়া দুই দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় টেকনাফের বাহারছড়া, হাদুরছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় ১০টি স্থানে মেরিন ড্রাইভে নতুন করে ভাঙছে।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে স্রোতের তোড়ে সড়ক রক্ষাকবজ জিও ব্যাগ দুর্বল হয়ে গেছে। আইন অমান্য করে মেরিন ড্রাইভের কাছ থেকে অনেকে বালু তুলে জমি ভরাট করেছে। এ কারণে সাগরে সামান্য পানি বাড়লেও এ রুটে ভাঙন দেখা যায়।
স্থানীয় রেজাউল করিম বলেন, এর আগে কখনো এভাবে ভাঙন ধরেনি মেরিন ড্রাইভে। সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বড় বড় ঢেউ এসে আঁচড়ে পড়ে মেরিন ড্রাইভে। জিও ব্যাগ টপকে ঢেউগুলো সড়কে উঠেছে। এতে সড়কটিতে ভাঙন ধরেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, সাগরের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি। মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি স্পটে ভাঙন ধরেছে। তবে ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করছে। খুব কম সময়ে এই সমস্য সমাধান হবে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি নির্মাণকাজ শুরু হয় কক্সবাজার শহরের কলাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ৮০ কিলোমিটার এলাকায়। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন হলেও নির্মাণ তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর। নয়নাভিরাম সড়কটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বেশ সমাদৃত।
Leave a Reply