অনলাইন ডেস্ক : ঋণের নামে জালিয়াতি করে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাত মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মাসুদ-উল-হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারের কে এম মাসুদ রুমী। ২০২০ সালে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাহেদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ওরফে বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতি এবং রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ই জানুয়ারি রিজেন্ট হাসপাতালের নামে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন সাহেদ। হাসপাতালের জন্য ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় একটি এমআরআই মেশিন কেনার কথা বলে হিসাব খোলার দিনই সাহেদ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে এক কোটি টাকার এফডিআর বন্ধক রেখে দুই কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা না দেখে পরদিন সাহেদের আবেদন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ওই বছরের ১৩ই জানুয়ারি সাহেদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে ২ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান বাবুল চিশতীর কাছে উপস্থাপন করা হলে তিনি তা অনুমোদন করেন।
এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। পরে হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। গতকাল সেই রুল মঞ্জুর করেছেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ২০২০ সালের ৬ই জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
অভিযানে করোনার ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ই জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে ১৫ই জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করে র্যাব। সেই থেকে কারাবন্দি সাহেদ।
Leave a Reply