1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহন কেরে নিল বিসিএস কর্মকর্তাসহ তিন জনের প্রান, এ দুর্ঘটনার দায় নেবে কে? আপনাদের ভালোবাসায় নৌকা পেয়েছি, বাওয়ার দায়িত্ব আপনাদের : মমতাজ বেগম মানিকগঞ্জের ঘিওরে গণ ধর্ষণের অভিযোগে ৭ জন আটক মানিকগঞ্জে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং মানিকগঞ্জে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মনোনয়ন বাতিল নাশকতার আট মামলায় নিপুণকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট বিএনপি-জামায়েতের ডাকা অবরোধের গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বাসে আগুন সারাদেশে বদলি হতে পারে ৫৭০ ইউএনও-ওসি দেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ইজতেমা পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের অপূর্ব মিলনক্ষেত্র: প্রধানমন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১০৭ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইজতেমা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র, যা ইসলামী সমাজ, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব ও মহানুভবতার এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ‘বিশ্ব ইজতেমা’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথি পরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।’

শেখ হাসিনা মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। বিগত বছরের মতো এবারও দুই ধাপে ১৩-১৫ জানুয়ারি এবং ২০-২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ইসলামের উন্নয়ন, প্রচার, প্রসার এবং খেদমতে বহু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন এবং টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। তিনি কম খরচে হজ পালনের জন্য হিজবুল বাহার জাহাজ ক্রয় করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী প্রেরণ করেন। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশে ইসলামের উন্নতিকল্পে বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব জেলা এবং উপজেলায় মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লক্ষ লক্ষ শিশুকে কুরআন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন। সূত্র : বাসস

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :