1. shahjahanbiswas74@gmail.com : Shahjahan Biswas : Shahjahan Biswas
  2. ssexpressit@gmail.com : sonarbanglanews :
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দেশের উন্নয়ন শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে:মমতাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে হরিরামপুরে গাছের চারা রোপন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ক্ষেতমজুর সমিতির সভা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আব্দুল লতিফ প্রধান শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হরিরামপুরে মৃত গ্রাহকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র আর মির্জা ফখরুল ভয় দেখায় গোবিন্দগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু   গাইবান্ধা জেলা আ’লীগ সভাপতির সহধর্মিনীর ইন্তেকাল হরিরামপুরে উদ্যোক্তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ  খালেদাকে বিদেশ নিতে আইনগত জটিলতা আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ‘বুদ্ধিজীবী সূর্য সন্তানদের হত্যা দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে’

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৮৫ বার পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামসের সম্মিলিত নীলনকশা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়া, যার পরিসমাপ্তি ঘটে ১৪ ডিসেম্বর। জাতিকে মেধাশূন্য করতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিজয়ের ৫০ বছরেও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটা পূর্ণাঙ্গ তালিকা হয়নি। তাদের স্বজন ও ঘনিষ্টরা বলছেন, সরকারের কাছ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটা চূড়ান্ত তালিকা চাই।

তারা বলেছেন, তালিকা ধরে চালানো এই হত্যাযজ্ঞ পরিকল্পিত হলেও আগেভাগে কিছুই টের পাওয়া যায়নি। এমনকি এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরাও বিষয়টি ধারণা করতে পারেননি। সে জন্য তাদের প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয় বা এর আশপাশের নিজ বাসায় ছিলেন। হত্যার কথা ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর সবাই জানতে পারেন। ফলে প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা বিজয়ের আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়ে যায় তাদের কাছে।

জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকার চামেলীবাগের (শান্তিনগর) বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে। তাকে কনকনে শীতের রাতে জামা-কাপড় পরার সুযোগটুকু না দিয়ে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় তার গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় ঘাতকরা। একই সময়ে নিজ বাস থেকে তৎকালীন পিপিআই’র চিফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের বড় ম্যাসাকারের আগ পর্যন্ত আরও কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের কেউই আর ফিরে আসেননি ঘরে। অনেকের লাশ মিলেছে, কারও কারও লাশ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

পরাজয়ের আগে ঘাতক পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দোসররা বাঙালির সর্বোচ্চ ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটায় ঘাতকেরা।

লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, চলচ্চিত্র ও নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে তারা জাতিকে মেধাশূন্য করতে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

১৯৭১-এর ১০ ডিসেম্বর থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি চলে। মূলত ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়। এদিন বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্তত ২শ বুদ্ধিজীবীকে। তাদের চোখে কাপড় বেঁধে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত নির্যাতন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় বীভৎস নির্যাতন। পরে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রাখা হয় রায়েরবাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে।

বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতি বছর ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

পাকিস্তানি সামরিক জান্তার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। আর তাকে তালিকা প্রস্তুতিতে সহযোগিতা ও হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নের পেছনে ছিল মূলত জামায়াত গঠিত কুখ্যাত আলবদর বাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রধান ঘাতক ছিলেন চৌধুরী মঈনুদ্দীন (অপারেশন ইনচার্জ) ও আশরাফুজ্জামান খান (প্রধান জল্লাদ)। ১৬ ডিসেম্বরের পর আশরাফুজ্জামান খানের নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে তার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করা হয়, যার দুটি পৃষ্ঠায় প্রায় ২০ জন বুদ্ধিজীবীর নাম-ঠিকানা লেখা ছিল। তার গাড়িচালক মফিজুদ্দিনের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী রায়েরবাজারের বিল ও মিরপুরের শিয়ালবাড়ির বধ্যভূমিতে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর গলিত মরদেহ পাওয়া যায়। যাদের তিনি নিজ হাতে গুলি করে মেরেছিলেন।

আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন একাত্তর সালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি অবজারভার ভবন থেকে বুদ্ধিজীবীদের নাম-ঠিকানা রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার বশীর আহমেদকে পৌঁছে দিতেন। এছাড়া আরও ছিলেন এ বি এম খালেক মজুমদার (শহীদুল্লাহ কায়সারের হত্যাকারী), মাওলানা আবদুল মান্নান (ডা. আলীম চৌধুরীর হত্যাকারী), আবদুল কাদের মোল্লা (কবি মেহেরুন্নেসার হত্যাকারী) প্রমুখ। চট্টগ্রামে প্রধান হত্যাকারী ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং গিয়াস কাদের চৌধুরী।

১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী সূর্য সন্তানদের হত্যা জাতির অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। দিবসটি উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে একদিনে এত সংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে আর কখনো হত্যা করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার প্রাক্কালে এমন হত্যাকাণ্ড বিশ্ব মানবতাকে স্তব্ধ করে দেয়। মূলত স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে মেধাশূন্য হয়ে পড়ে, সেই লক্ষ্যেই এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড।’

দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা বাণী দেন। এছাড়া মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানান কর্মসূচি পালন করে।

খবরটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন :